পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় অগ্নিকান্ডে বসতবাড়ির আংশিক ভষ্মীভূত হয়েছে। তবে আগুনের সুত্রপাত নিয়ে সন্দেহের অবতারনা দেখা দিয়েছে। গভীর রাতে আগুন এর সুত্রপাত হয়েছে। এ সময় বসতবাড়ির গৃহবধূ আগুন দেখতে পান। তারা আর্তচিৎকার করলে স্থানীয়রা ওই স্থানে দ্রুত গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় বসতবাড়ির রান্নাঘরটির প্রায় ২৫ ভাগ পুঁেড় ছাই হয়ে যায়। উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের লালজানপাড়া গ্রামে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে ২০ এপ্রিল গভীর রাতে। বাড়ির মালিকের নাম হাজী নুরুচ্ছফা। তিনি ওই এলাকার মৃত হাজী নুর আহমদের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,ওই দিন রাত ২ টার দিকে হাজী নুরুচ্ছফার বসতবাড়ির রান্নাঘরে আগুন লেগে যায়। বসতবাড়ির উত্তর পাশের্^ ছালের একপেশে দাউ দাউ করে আগুন জ¦লতে থাকে। এ সময় নুরুচ্ছফার পুত্রবধূ হাসিনা বেগম আগুন দেখতে পান। তিনি চিৎকার করে পাড়া প্রতিবেশীদের চেতন করেন। প্রায় ৩০/৪০ জন স্থানীয়রা জড়ো হয়ে দ্রুত পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন আনতে সক্ষম হন। আনিসুর রহমান, নবী হোসাইন, জাফর আহমদ, বশির মিয়া, আহমদ হোসনসহ স্থানীয়রা জানায়, আগুন এর দৃশ্য আমরা দেখতে পেয়ে দ্রুত ছুটে গিয়েছিলাম। পানি দিয়ে আগুন নেভানো হয়েছে। নিছের কোন অংশ থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়নি। এটি নুরুচ্ছফার রান্না ঘর। ছাউনের ছানি ছালের উত্তরাংশে আগুন দেখা গেছে। নুরুচ্ছফা গংদের সাথে তার ভাইয়ের ছেলেদের বিরোধ চলছিল। তারা এক বছর ধরে এক পক্ষ অপরপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টায়। মনে হচ্ছে এটি শত্রুতাও হতে পারে। নুরুচ্ছফার স্ত্রী মরিয়ম খাতুন জানায়, আমরা চেতন না হলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হত। এটি নাশকতা। হাজি নুরুচ্ছফা জানায়, ৮শতক বসতবাড়ির জায়গা সেকান্দর আলী গং জবর দখলে রেখেছে। তারা আমাকে নানাভাবে হয়রানি ও গায়েল করার চেষ্টা করছে। এ আগুন তারাই দিয়েছে। এটি আমার যথেষ্ট সন্দেহ এদের উপর। পুত্রবধূ গোলাম রহমানের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানায়, আমরা মহিলারা দ্রুত বাইরে গিয়ে চিৎকার দিয়ে মানুষ জড়ো করি। তারা এসে আগুন নিভে ফেলে। শত্রুতামুলক আগুন দিয়েছে। বাড়ির ছালের উপরে এ আগুন ধরবে কেন। অবশ্যই কেউ দিয়েছে। আমরা সর্বনাশ হতাম। আল্লাহ রক্ষা করেছে।
#########
পেকুয়ায় হামলায় স্কুল ছাত্রীসহ আহত-২
পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় স্কুল ছাত্রীসহ ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ২১ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গা পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন রিকু আক্তার(১৩), আনজীবন আরা বেগম(৪৫)। এরা ওই এলাকার নাজিম উদ্দিনের মেয়ে ও স্ত্রী। এদের মধ্যে রিকু আক্তার খান বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই দিন সকালে রিকু আক্তার ও তার মা আনজীবন আরার সাথে একই এলাকার নাছির মাঝির স্ত্রী সামু বেগমের কথাকাটাকাটি হয়েছে। এ সময় নাছির মাঝির ছেলে ফারুক ধারালো দা নিয়ে নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে দ্রুত ধেয়ে আসে। এক পর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে মা, মেয়েকে আক্রমন করে। এ সময় তারা গুরুতর আহত হন।
পাঠকের মতামত: